ক্রান্তিকাল নিউজ ডেস্কঃ নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা এক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জানান, শনিবার বিকালে পুলিশ লাইন্স এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশে হস্তান্তরের বিষয়টি রোববার সকালে নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ নিহার রঞ্জন দাস।
মারধরের শিকার সুমিত সরকার (২২) গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার রাজকুমার সরকারের ছেলে। তিনি নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার বিভাগের ৮ম পর্বের শিক্ষার্থী এবং একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সুমিত নরসিংদী সদরের দগরিয়া এলাকার একটি মেসে থেকে পড়াশোনা করতেন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন বলেন, “পরীক্ষা শেষে সুমিত হল থেকে বের হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। পথে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে আটক করে বেধড়ক মারধর করে এবং পরে পুলিশে সোপর্দ করে। এর আগে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা অভিযোগ ছিল না। তিনি অত্যন্ত ভালো ছেলে, এ ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।”
এ বিষয়ে নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ নিহার রঞ্জন দাস বলেন, “ঘটনাটি আমার কাছে জানানো হয়েছে। সুমিতের সহপাঠীরা আমাকে জানিয়েছে যে, সে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হলেও অত্যন্ত নম্র ও ভদ্র ছাত্র। তাকে মারধরের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারিনি, তবে এ ধরনের ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা জানাই।”
নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শাখা ছাত্রদলের কোনো কমিটি নেই। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগের বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব ভূইয়া বলেন, “আমরা এ ঘটনার বিষয়ে জানি না। যদি এমন কিছু ঘটে থাকে, তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। ছাত্রদল কখনোই শিক্ষার্থীদের ওপর সহিংসতা বা হেনস্তার ঘটনার সমর্থন করে না।”
নরসিংদী সদর থানার ওসি মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, “সুমিত সরকার ২ জানুয়ারি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের একটি মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিল। তাকে পুলিশ লাইন্স এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে পুলিশ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেছে। ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাকে মারধর করে পুলিশে তুলে দেয়, এমন কিছু ঘটেনি। সুমিতকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।”
এ ঘটনার ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে নরসিংদী জেলার শিক্ষাঙ্গনগুলোতে।